রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নের দক্ষিন আদাখোলা গ্রামে প্রতিপক্ষের একের পর এক অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে বাচঁতে ভুক্তভোগী ৪টি পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রোববার বেলা ১১ টার দিকে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে উপস্থিত হয়ে দক্ষিন আদাখোলা গ্রামে বীর মুক্তি যোদ্ধার সন্তান মোঃ আঃ মন্নান হাওলাদার, জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান ও হোসনেয়ারা বেগম এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মৃত বীর মুক্তি যোদ্ধা মোঃ হাচেন আলী হাওলাদারের ছেলে মোঃ আঃ মন্নান হাওলাদার লিখিত অভিযোগে জানান, এলাকায়- চুরি, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা, ইভটিজিং ও সন্ত্রসী কর্মকা- ব্যাপকভাবে বিস্তার পাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম মিয়ার অনুমতি সাপেক্ষে ইউএনও মহোদয়ের অবগতির মাধ্যমে ১০ জন বিশিষ্ট একটি পাহারার দল তৈরী করেন। এতে দক্ষিণ আদাখোলা গ্রামের প্রতিপক্ষ মোঃ আলী হোসেন হাওলাদারের মোঃ রুবেল হাওলাদার (২২) ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৩ এপ্রিল গভীর রাত ২ টার দিকে পাহারাদার মিজানুর রহমানের বাড়ীতে মাদক ব্যবসায়ী রুবেল ও তার দলবল প্রবেশ করিয়া বসতঘর ভাংচুর করে ও তাহার ৯ম শ্রেণি পড়-য়া স্কুল ছাত্রী মেয়েকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে গত ২৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পাহারা কমিটি প্রধান হিসেবে মিজানুরকে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিতে সাহায্য করতে যাওয়ায় ২৫ এপ্রিল সন্ত্রাসী রুবেল তার কয়েকজন অনুসারী নিয়ে মন্নান হাওলাদারের বাড়ীর ৫ টি গাছ কেটে ফেলে এংব তার মাদ্রাসায় পড়-য়া মেয়েকে রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে গিয়ে ইজ্জত হরণসহ তাদের হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল রাজাপুর থানায় সাধারণ ডায়রী (নং- ৯০৭) দায়ের করেন মান্নান হাওলাদার। সংবাদ সম্মেলনে ওই গ্রামের জাকির হোসেন অভিযোগ করে জানান, তার ঘরে বসে রুবেল ও তার দলবলের সেবনের বাধা দেওয়ায় ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় থানা অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ওই গ্রামের গৃহবধূ হোসনেয়ারা বেগম সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে জানান, রুবেল হোসেন তার ২য় শ্রেণির ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেছে। একইভাবে অন্তত বর্তমানে রুবেল ও তারদলবলের অত্যাচারে ও নির্যাতনে দক্ষিণ আদাখোলাবাসী অতিষ্ট। রুবেলের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুবেল হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তার পিতা আলী হোসেন দাবি করেন, মান্নানের আম অন্য ছেলেরা চুরি করলেও তার ছেলে রুবেলকে দোষারোপ করা হলে স্থানীয়ভাবে তা বিচার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য এক ব্যক্তি রুবেলের কাছে কলা বিক্রি করতে দেয়ায় একটি দোকানে রুবেল তা নিয়া বিক্রি করেছে। এসব ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা হয়েছে। এর পরেও পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে রাজাপুর থানার ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, রুবেলের বিরুদ্ধে একটি জিডি করা হয়েছে এবং অভিযোগের বিষয়েও পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে, এসব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply